মোজেস
মুক্তিকামী সন্ধেগুলো বিদায় নিচ্ছে
লাল সন্ত্রাস। গলাবিহীন ধড় ছটফট করছে।
একটা জেব্রা রাস্তা পার হয়,
দশহাজার কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি আলো
মুক্তিকামী সন্ধেগুলো মূক হয়ে আসে।
তুমি রিমোট কন্ট্রোলে চ্যানেল ঘোরাচ্ছ
দশহাজার কিলোমিটার দূর থেকে
ভেসে আসছে গমগমে আওয়াজ
মৃত জ্যোৎস্না ফিরে আসবে।
মৃত রেখা ধরে জেব্রা আবার রাস্তা পেরোবে।
মুক্তিকামী সন্ত্রাস আরো লাল হবে।
সমুদ্র দু’ভাগ করে মোজেস হেঁটে যায়।
সন্তাপ
প্রতিটি অপরাধের পর বিবেক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
আর আমরা অসহায় আত্মসমর্পণ করি
লাল উল চলে যাচ্ছে লাল ভেড়ার সামনে দিয়ে
রগ টিপে ধরে ধাতস্থ হতে চেষ্টা চালাচ্ছি
এসি চালু আছে ; এবং গাড়ির তাপমাত্রা হুহু করে
কমছে ; চাবি ঘুরিয়ে দেখে নিচ্ছি।
সৈনিকদের হইহল্লা ; আর তাঁবু থেকে বেরিয়ে আসার জন্য
হরিণীর চিৎকার ; সব মিলেমিশে যাচ্ছে
বড়দিনে গির্জার ঘন্টায়
পেরেকে ঝোলানো চে গেভারা
মোমবাতিটা নিভে গেছে,
আমরা নতমস্তকে দেশলাই খুঁজে চলি।
নিরাময়
সেরে যাওয়া প্রতিটি ক্ষত যন্ত্রণার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে
ম্যাস্টিফ আপেল চিবোতে চিবোতে
তালাবন্ধ ঘরের দিকে চলে যাচ্ছে
যখন আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব চিনতে পারে না সাতদিন
বন্ধ দরজার কেবিন। যুবতী লাইটহাউজ
একটি জাহাজ পানামা খালের দিকে চলে যাচ্ছে
প্লেট লাফিয়ে নামছে ; কাচের টুকরো এসে বিঁধছে
প্রতিটি আপেল অন্য আপেলের গলা টিপে ধরছে
সেরে যাওয়া ক্ষতে শুকনো চামড়া খসখস করছে
একবার ব্রাশ বুলিয়ে নেওয়া দরকার
শেষবারের মতো ওয়াশরুম খুঁজছি।
প্রচ্ছদঃ সুমন মুখার্জি