Third Lane Magazine

 
কালের নিয়মে শারীরিক সক্ষমতা মানুষের যোগ্যতা ও নান্দনিকতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তুলনামূলক অ-সক্ষম মানুষদের সক্ষমদেহীদের থেকে পৃথক করা হয়েছে। সক্ষমবাদের লেন্স দিয়ে ভিন্নতাকে দেখা এবং অপরায়ণের এই পদ্ধতি সমাজে নিরবচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছে।
 
সামাজিক, ব্যক্তিগত ও আরো নানা স্তরে এই প্রান্তিকায়ন নিয়ে বাংলাভাষায় ও বাংলামাধ্যমে যে আলোচনা নজরে আসে, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞ ও কেয়ারগিভারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
 
থার্ড লেনের Disability-কে চিনতে চাওয়ার যে যাত্রাপথ, তাতে তাত্ত্বিক পরিসরের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নেয় ব্যক্তিগত যাপনের অভিজ্ঞতা। সক্ষমতাকে আলম্ব করে গড়ে ওঠা সমাজে প্রভাবশালী স্তরে সেই যাপনের অভিজ্ঞতার বহুমাত্রিক ঘাটতি থেকে যায়। অক্ষমতা, বিশেষ চাহিদা, বিশেষভাবে সক্ষম, দিব্যাঙ্গ, ইত্যাদি বিভিন্ন শব্দ সমাজে প্রচলিত বটে, তবে প্রতিটি শব্দের সাথে নির্দিষ্ট কিছু ইতিহাস জড়িত। আলোচনার পরিসরে Disability শব্দটিই বারবার ব্যবহৃত হয়েছে, তাই আমরাও এক্ষেত্রে এই শব্দটিকেই বহাল রেখেছি।
 
এই বিষয়টির পরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত ও বহুমুখী। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা অ-সক্ষমতা সংক্রান্ত সর্বাঙ্গীণ আলোচনার একটি পরিসর তুলে আনতে চাইছি, সামাজিক অধিকার আন্দোলনের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ব্যক্তিপরিচিতির সংকট বা নিত্যযাপনের অভিজ্ঞতা যেখানে উঠে আসার প্রয়োজন সমান স্বতঃস্ফূর্ততায়।
 
এই সংখ্যায় থাকছে দুটি প্রবন্ধ, একটি সাক্ষাৎকার।
 
প্রবন্ধ –
মনজিৎ কুমার রাম
সোমালী
 
সাক্ষাৎকার –
যীশু দেবনাথ, মনজিৎ কুমার রাম ও সোমেন দত্ত
 
(মুখ্য পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সোমালী)