কুকুর কিভাবে মানুষের বন্ধু হল – অর্ণব চক্রবর্তী

      এক জঙ্গলে একদল কুকুর থাকতো। তারা ছিল খুব সিরিয়াস টাইপের প্রাণী। আড্ডা মেরে, ঘুমিয়ে, নেচে গেয়ে অন্যদের মতো সময় নষ্ট করত না। বনের রাজা সিংহ যা কাজ দিতেন এতটুকু দেরি না করে তা তারা করে ফেলতো। এইসবের জন্য সিংহ তাদের খুব ভালোবাসতেন। অন্যান্য পশুপাখিরা আবার সেই কারণেই কুকুরদের ভারী হিংসে করত। কুকুররা অবশ্য তেমন পাত্তা দিত না। কেউ জ্ঞান দিতে এলেই ঘেউ ঘেউ করে তর্ক জুড়ে দিত। তর্ক বলছি বটে কিন্তু তা না বলে ঝগড়া বলাই ভালো, কারণ যুক্তি-টুক্তির বিশেষ বালাই ছিল না। তাই মনে মনে সবাই রাগ করলেও সামনাসামনি কেউ কিছু বলতে সাহস করত না।

বনের দক্ষিণদিকে ছিল একটা মাঠ। প্রতিদিনের কাজের শেষে বনের সব শুয়োর, গাধা, ছাগলেরা এই মাঠে আড্ডা মারতে আসতো। একদিন বিকেলবেলা আতার শরবতে চুমুক দিতে দিতে ওরা সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, এমনসময় হঠাৎ একটা গাধা চোখ নামিয়ে বলল-  ‘শুনতে পাচ্ছিস?’
— কি শুনব? শুয়োর জিজ্ঞেস করল।
— ভালো করে শোন।
সবাই কান পেতে শোনার চেষ্টা করল। আরে! সত্যিই তো দূর থেকে একটা আওয়াজ ভেসে আসছে। ‘হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া’; ধীরে ধীরে শব্দটা আরও স্পষ্ট হতে লাগল। একসময় দূরে পাহাড়ের ঢালে একপাল পশুকে দেখা গেল। তাদের একজন হুক্কা হুয়া ডাকলে পরক্ষণেই সবাই কোরাসে যোগ দেয়। এটাই বুঝি তাদের গান। যাই হোক, গান গাইতে গাইতে তারা তো চলে এল এক্কেবারে মাঠের সামনে। তখন একটা মোটাসোটা শুয়োর একঢোকে সবটা শরবৎ শেষ করে গ্লাসটা মাঠের ধারে ছুঁড়ে ফেলল। তারপর টেনেটুনে কোনমতে প্যান্টটা কোমরের উপরে তুলে শুধোল-  ‘কি চাই?’
শেয়ালের পালের মধ্যে থেকে একজন বলল- ‘আমরা শেয়াল, আমরা কি এই বনে থাকতে পারি?’
শুয়োর বলল, ‘সে তো আমি বলতে পারব না। সিংহ রাজা অনুমতি দিলে,তবেই।’
শেয়াল বলল, ‘তাহ’লে যাই সিংহ রাজার সাথে দেখা করি গে…’
শুয়োর তখন মুখ দিয়ে চুক চুক শব্দ করে রাস্তা আটকে দাঁড়ালো, বলল-‘ দাঁড়াও দাঁড়াও, অত সহজে তো তোমাদের যেতে দেবো না বাবা।’
শেয়াল একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে বলল তোমাদের জন্য আমরা কিছু উপহার নিয়ে এসেছি, বলেই ঝোলা থেকে অনেকগুলো পাকা আম বার করে যতজন শুয়োর গাধা আর ছাগল ছিল সব্বাইকে একটা করে দিল।
শুয়োর চোখ বড় বড় করে বলল ‘আম পেলে কি করে গো?! আমবাগানে তো মানুষের বাস! তারা তো সারারাত আগুন জ্বেলে রাখে!’
শেয়াল মুচকি হেসে বলল, ‘আমরা যে ফুঁ দিয়ে আগুন নেভাতে জানি!’
ফুঁ দিয়ে আগুন নেভাতে পারো? শুয়োর আম খাবে কি! এই কথা শুনে তার মুখ হাঁ হয়ে গেছে। সে খুব খাতির করে শেয়ালদের সিংহরাজার ঠিকানা দিয়ে দিল। কিন্তু যাবার আগে সাবধান করে দিলো-  ‘দেখো, সিংহরাজাকে পাহারা দেবার জন্য কিন্তু অনেক কুকুর আছে। কুকুরেরা ভয়ংকর রাগী আর খেঁককুটে। সেন্স অফ হিউমার এক্কেবারে জিরো। সবসময় তাদের মেজাজ খিঁচড়ে থাকে। একটু এদিক থেকে ওদিকে করেছো কি ঘ্যাঁক করে চেপে ধরবে। এই দেখো না কাজের ফাঁকে একটু ঘুমোচ্ছিলাম বলে কিছুদিন আগে আমার ভুঁড়িতে কামড়ে দিয়েছে।’ শুয়োর জামা তুলে নিজের ভুঁড়ির কাটা দাগ দেখালো শেয়ালকে। শেয়ালের মুখে ভয়ের রেশমাত্র দেখা গেল না। সে বলল, তুমি একদম ভেবো না। আমরা ঠিক ম্যানেজ করে নেবো।
এবার রোগা গাধাটা ক্ষীণ স্বরেবললো, ‘আর শোনো, কুকুরের সামনে যেন মিথ্যে কথা বোলো না। কুকুর কিন্তু গন্ধ শুঁকে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে বলে দিয়ে পারে।’
‘তাই নাকি?’ এইবার শেয়ালের কপালে ভাঁজ পড়ল। সে খুব গম্ভীরভাবে কি যেন ভাবছে। কয়েক সেকেন্ড পরেই আবার মুখে হাসি এনে বলল, ‘আচ্ছা ঠিকাছে, আমরা মিথ্যে বলবই বা কেন?’
তারপর তারা গেল সিংহরাজার সাথে দেখা করতে।
কিন্তু সিংহরাজার সাথে দেখা করা কি আর সহজ কাজ? তাঁর গুহার সামনে পাহারা দিচ্ছে তিনটে সানগ্লাস পরা কুকুর। তারা শেয়ালগুলোর পথ আটকে দাঁড়ালো, ‘কি চাই?’
শেয়াল বলল- ‘আমরা সিংহরাজার জন্য উপহার নিয়ে এসেছি।’
তখন কুকুর নিয়ে গেল ওদের সিংহরাজার কাছে। সিংহরাজা তো আম পেয়ে মহা খুশি, ‘বলো তোমরা কি চাও?’

শেয়াল বলল, ‘আর বলবেন না মহারাজ দুঃখের কথা! আমরা আপনার জন্য আম আনতে গিয়েছিলাম মানুষের গ্রামে। জানেনই তো সেখানে রাত্রিবেলা আগুন জ্বলে, সেই আগুনে পুড়ে গিয়ে আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমাদের সত্যি কথার গন্ধ হয়েছে মিথ্যার মতো, আর মিথ্যার গন্ধ সত্যির মতো।
সঙ্গে সঙ্গে কুকুর বলল, মহারাজ মিথ্যের গন্ধ পাচ্ছি!
সিংহ বলল, তাহলে তো ব্যাটারা সত্যি বলছে, যাও এদের সবার থাকার ব্যবস্থা করে দাও।

কুকুর সবার থাকার ব্যবস্থা করে দিল। কিন্তু একটুও খুশি হল না। তাদের মনে কি একটা যেন খচখচ করছে।

কয়েকটা দিন গেল। ইতোমধ্যে শেয়ালের কথা সবার মুখে মুখে। যার যা সমস্যা শেয়ালের কাছে নিয়ে আসে আর শেয়াল ঠিক উপায় বাতলে দেয়। সিংহরাজার কেশরে উকুন হয়েছে, রামছাগলের দাড়ি গজাচ্ছে না, কোন বেড়ালের মাছে অরুচি- সবাই আসছে শেয়ালের কাছে। শেয়ালরা যেন সব জানে! ঠিক কিছু না কিছু সমাধান করে দিচ্ছে। সিংহরাজা খুশি হয়ে তাদের জন্য জঙ্গলের মধ্যে ভালো একটা জায়গা দেখে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সবাই বলে শেয়ালস কোয়ার্টার। শেয়ালরা মাঝে মাঝে সেখানে পার্টি দেয়, তখন বনের সমস্ত পশুপাখি সেজেগুজে এসে জড়ো হয়। শেয়ালরা হুক্কা হুয়া করে কোরাসে গান ধরে, সেই গান শুনতে শুনতে আর আরশোলার জুস খেয়ে সবাই ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ে। শেয়ালদের বাড়িতে আসে না একমাত্র কুকুর। তার ভারী গোঁসা! তাও শেয়াল মাঝে মাঝে কুকুরের বাড়িতে দু’একটা তালশাঁস পাঠায়। তারা কি করে যেন জেনে গেছে যে কুকুর তালশাঁস খেতে ভালোবাসে।

আরও একটা জিনিস শেয়ালরা করে। তাকে বলে এক্সপেরিমেন্ট! তারা একটা ঘর বানিয়েছে যেখানে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে মিশিয়ে দেখে- কোনটার সাথে কি মেশালে কি হয়! কোন দিন হয়ত মেশালো বরবটির সাথে ইঁদুরের ল্যাজ, কোন দিন মেশালো দুধের সাথে টিকটিকির ডিম- কি যে তারা করতে চায় কেউ বুঝতেই পারে না। এভাবেই তারা নাকি বানিয়েছে খিদে পাওয়ার ওষুধ। একবার যদি সে ওষুধ খেয়েছো তাহলে এমন খিদে পাবে যে মনে হবে গোটা পৃথিবীটাকে মুখের মধ্যে পুরে ফেলি!
তবে এসব গবেষণায় কারোর যখন ক্ষতি হচ্ছে না তখন আর কি যায় আসে? কেউ বারণ করল না।

কিছুদিন পর থেকে বনের মধ্যে এক উপদ্রব শুরু হল। হঠাৎ হঠাৎ একজন করে গায়েব হয়ে যায়! কোথায় যে তারা যায় কেউ জানে না! সবাই ভাবে নিশ্চয়ই কোথাও ঘুরতে গেছে, ঠিক চলে আসবে। কিন্তু দিন যায়, মাস যায় তারা আর ফিরে আসে না। একদিন গায়েব হল একটা মুরগি, একদিন গায়েব হল গুটিকয় হাঁস, আরেকদিন এক নধর গোলগাল ছাগল। ছাগলের বাচ্চাটি এসে বলল ‘দ্যাখো দ্যাখো আমার বাড়ির সামনে এইটা পড়ে ছিল’। সবাই দেখল সাদা আর খয়েরি রঙের লোম। অনেকটা শেয়ালের লেজের লোমের মতো দেখতে। শুয়োর ভুরু কুঁচকে বলল, তুই কি বলতে চাইছিস রে ব্যাটা? আমাদের শেয়াল তোর মাকে নিয়ে গেছে? কচি ছাগলটা গলা কাঁপিয়ে বলল- ব্যারে! আমি কি তাই বললুম নাকি?

সিংহ রাজা পড়লেন চিন্তায়। এ কেমন ফ্যাসাদে পড়া গেল! তিনি পরামর্শের জন্য শেয়ালকে ডাকতে যাবেন, এমন সময় সানগ্লাস পরা তিন কুকুর এসে হাজির, বললে- ‘মহারাজ, আমাদের ওপর দায়িত্ব দিন। আমরা সারারাত জঙ্গল পাহারা দেবো।’ সিংহ বললেন ‘আচ্ছা বেশ, দেখো তোমরা কিছু করতে পারো কিনা।’

কুকুররা গোটারাত বনের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত টহল দেয়। আর মাঝে মাঝে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে আশ্বস্ত করে- আমরা পাহারা দিচ্ছি, তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমোও। যেদিন থেকে তারা পাহারা দিতে শুরু করল সেদিন থেকে কেউ আর গায়েব হল না। ফলে সবাই আবার নিশ্চিন্ত হল, সবচেয়ে খুশি হলেন সিংহ রাজা। কুকুরদের জন্য তিনি আনালেন বনের সেরা তালশাঁস।   

খুশি হল না শুধু শেয়ালগুলো। তাদের চোখে যেন সুখ নেই! তারা আর পার্টি করে না, আড্ডা মারে না, শুধু ওই ঘরটার মধ্যে বসে কিসব এক্সপেরিমেন্ট করে যায়। সিংহরাজা তাদের একজনকে তলব পাঠালেন। শেয়াল দুঃখ-দুঃখ মুখ করে এসে দাঁড়ালো।

– কি হে শেয়াল, তোমার মন খারাপ মনে হচ্ছে?

– হ্যাঁ মহারাজ, আমরা খবর পেয়েছি হারানো মুরগিটা কোথায় আছে।

– সেকি! কোথায়?

– মানুষের ডেরায়।

– সর্বনাশ! তাহলে তো আর ফিরতে পারবে না!

– উপায় আছে মহারাজ। কুকুর যদি যায়, কুকুরই একমাত্র পারে মুরগিটাকে ছাড়িয়ে আনতে।

– আচ্ছা তুমি যখন বলছ, তাহলে ওদেরই পাঠাচ্ছি।

– হ্যাঁ মহারাজ আমরাও বনের ধার অবধি কুকুরদের সাথে থাকব। দেখিয়ে দেব কিভাবে যেতে হয়।

– তাহলে তো ভালোই হল।

যথা সময়ে কুকুরেরা সেই শেয়ালের সাথে বের হল। শেয়ালের হাতে একটা ছোট জলের বোতল।

– তোর এই বোতলে কি আছে রে? কুকুর জিজ্ঞেস করল।

– জল আছে কুকুরমশাই। খাবেন?

কুকুর দেখল একটু জল খেলে মন্দ হয় না, অল্প অল্প তেষ্টা পাচ্ছে। কিন্তু শেয়ালদের তারা মোটেই পছন্দ করে না। গায়ে খালি মিথ্যে মিথ্যে গন্ধ! তাই কিছুটা দোনামনা করে শেষে তিনটে কুকুরই একঢোক করে জল খেয়ে নিল।  

জল তো খেল, কিন্তু জল খাবার পর থেকেই তাদের ভয়ানক খিদে পেতে লাগল। সে কি খিদে, কি খিদে! সমস্ত নাড়িভুঁড়ি হজম হয়ে যাবার জোগাড়! খিদের চোটে তারা শেয়ালকে তাগাদা দিতে লাগল। কিন্তু শেয়ালের যেন শরীরে শক্তিই নেই, হেলতে দুলতে চলেছে!

এক ঘণ্টা পর তারা পৌঁছল বনের কিনারে। কুকুর গম্ভীরভাবে জিজ্ঞেস করল- ‘এবার কোন দিক?’ শেয়াল বলল- ওই যে সবচেয়ে বাঁদিকে যে ছোট মতো ঘরটা আছে ওখানেই আটকে আছে মুরগিটা। কিন্তু সাবধান কুকুরমশাই। মানুষের চোখে পড়লে কিন্তু তারা আস্ত রাখবে না!  

‘ভীতুর ডিম কোথাকার!’- এই বলে কুকুররা সময় নষ্ট না করে দৌড়ে দৌড়ে যেতে থাকল। ঘরটায় ঢোকার আগে একবার দুদিকে তাকিয়ে দেখে নিল কোন মানুষ ধারে কাছে আছে কিনা। তারপর সেই ঘরটায় ঢুকতেই তাদের চক্ষু ছানাবড়া! জ্যান্ত কই? ভেতরে যে আস্ত মুরগির রোস্ট! আহা, কি সুন্দর তার গন্ধ! সেই গন্ধে তাদের খিদে যেন লাফিয়ে বেড়ে গেল! মাথা ঘুরতে লাগল, পা কাঁপতে লাগল, মনে হল কিছু না খেলে তারা এক্ষুনি অজ্ঞান হয়ে যাবে। তিনটে কুকুর মিলে তখন মুরগির রোস্টটাই খেতে শুরু করল। আর সে কি স্বাদ! খেতে খেতে কোনো দিকে তাদের খেয়াল থাকে না। খেতে খেতে জিভ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে। চেটেপুটে গোটা রোস্টখানা খাওয়া শেষ করে পিছন ফেরামাত্রই তারা চমকে উঠল! সিংহ রাজা কটমট করে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছেন। আর তাঁর পাশে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শেয়ালগুলো। তখন কুকুরের খেয়াল হল, আরে! তারা তো মুরগিটাকেই খেয়ে নিয়েছে!  

তখন অনেক কান্নাকাটি করেও রক্ষা হল না। সিংহ রাজা তাদের বন থেকে তাড়িয়ে দিলেন। কি আর করবে, মনের দুঃখে তারা মানুষের কাছে এসে হাত জোড় করে বলল- আমাদের থাকার জায়গা দেবে? আমাদের কোথাও যাবার নেই।

মানুষ একটু ভেবে বলল- আচ্ছা, তুমি আমাদের জিনিসপত্র পাহারা দিতে পারবে? রাস্তায় বসে বসে পাহারা দিতে হবে কিন্তু সারাদিন।

– হ্যাঁ, খুব পারব।

– অচেনা কাউকে দেখলে, কাউকে চুরি করতে দেখলে কামড়ে দিতে পারবে?

– এ আর পারব না?  কুকুর হাঁ করে তার দাঁতের সাইজ দেখিয়ে দিল।

– আমাদের খাবার চুরি করবে না তো?

– কক্ষনো না।

– আমরা খাবার পর যা বাঁচবে তোমাদের দেব।

– যা দেবে তাই খাব। তারপর আমতা আমতা করে বলল আচ্ছা মুরগির রোস্ট পাওয়া যাবে মাঝে মাঝে?

হ্যাঁ, একবার খেয়েই কুকুরের নেশা ধরে গিয়েছিল। মানুষগুলো যখন মুরগির মাংস খেত তখন কুকুরদেরও একটু করে দিত। সেই থেকেই কুকুর হয়ে উঠল মানুষভক্ত। আর ল্যাজমোটা শেয়ালগুলো ছিল ওদের দুইচক্ষের বিষ। দেখলেই কেবল তাড়া করে বেড়াতো। আর সেই শেয়ালরা? তাদের গল্প না হয় আরেকদিন হবে।       

প্রচ্ছদঃ রেশমী পাল

*****