একটি
ঘোর অরাজনৈতিক
কবিতা
গা বাঁচিয়ে চলি। আর, ছাতা খুলি।রক্তের মতো কিছু দেখলে বলি,’রুদ্রপলাশ ফুটেছে!’তুমি খুব লেখালেখি কর:আগুনে বেগুনপোড়া হয়ে-যাওয়া মানুষের কথা।কিনে-আনা স্বাস্থ্য পায়নি যারা,সেইসব ভূতেদের কথা।আমি সে-সময়প্যাস্টেল রঙের শাড়ি কিনে,গাড়িবারান্দার নীচে শরবত খাই খর রোদে।দিনগত পাপ শেষ করে ভাবি,মানুষের একদিন অক্ষয় স্বর্গলাভ হবে!বাকি যা লিখেছি,সব উস্কানিমূলক।শুধু এই কবিতায়, কোনো ঝুলকালি নেই।বাদুড়ের ডানা ঝটপট নেই।বলছি তোমাকে,শুধু,এই কবিতায় আমি এতটুকু রাজনীতি ঢুকতে দিইনি
বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর
বসন্ত কেমন যে! প্রণয় ফোটায়।
দুঃসহ কালো। মন ভাবে,
সঙ্গতি,তাও ঠিক পার করে দেবে।
চৈত্র-ফাল্গুনের কাব্য লিখে লিখে
জেরবার হয়ে যাচ্ছি!
রোগশোক, চোরাগোপ্তা খুন, আর
বিকল সময়,
কোকিলের ডাকে উড়ে গেল।
চামড়া কুঁচকোনো শীত ছিল নাকি কোনোদিন! প্রবৃত্তি হাসে…
পীরিতি বালির বাঁধ। জলে মুছে যায়
*****
প্রচ্ছদ : সুমন মুখার্জী