দুটি কবিতা – হিয়া মুখার্জী

অরণ্য

তার চাউনির রঙ ছিলো ধূসর
আর চুলের রঙ কমলা।

আমরা তাকে চিনি না।

লোকমুখে শোনা যায় একদা এসেছিলেন তিনি।
বেগুনী জোব্বা আর আশ্চর্য গুবগুবি হাতে
উৎপটাং শিস দিতে দিতে।

এরপরই অদ্ভুত একটা থমথমে ভাব নেমে এসেছিল গ্রামে আর
তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রকল্পে ভরে গিয়েছিল মাঠ।

ধূসর চাউনী আর কমলা চুল নিয়ে
শেষবারের মত তাকে দ্যাখা যায়
স্মিত হাসতে হাসতে জঙ্গলে মিলিয়ে যেতে,
য্যানো খুব গোপনীয় কিছু জেনে ফেলেছেন।

শোনা যায়
তিনি অরণ্যের ভাষায় কথা বলতে পারতেন।

 

বোমা

একে যন্ত্রণাই বলো অথবা উপশম,
এই নিরুদ্বিগ্ন খামার বাড়ীতে
নির্বিবাদী হয়ে ভিড়ে মিশে যাওয়ার জন্যই
আমার আসা।

এ দেশ হাওয়াকলের।
শাফিনের মত ধোঁওয়াময়।
সন্ধ্যার খনি থেকে হারিকেন হাতে নিয়ে
উঠে আসে প্রগলভ যুবা।

এখানে অসুখ নেই।
জলের ঢেউ গুলো উজ্জ্বল ভাবে
শুধু ভাঙে আর ভাঙে।

সাময়িক ভাবে ফ্রেমগুলো নড়ে উঠতে পারে।
তারপর যে কে সেই।
কুচোফুলের মাঠে শান্তভঙ্গীতে চড়ে
শর্টহর্ন গাভী।

কতদিন এইসব রহস্য
সহ্য করবে তোমরা?

সম্ভবত সে কারণেই,

এই নিস্তব্ধ এলাকায়
খুব যত্ন নিয়ে
কাঁটাগুলিকে একটু একটু করে
অভীপ্সিত সেই বিপবিপের দিকে
টেনে নিয়ে যেতেই
আমার আসা

*****

প্রচ্ছদ : সুমন মুখার্জী