মোমরঙের মরসুম
ফাইজা ফাইরুজ রিমঝিম
ঢাকানিবাসী ফাইজা ফাইরুজ রিমঝিম একজন উঠতি শিল্পী। তার ছটফটে চঞ্চলচিত্ত তাকে শিল্পের সকল মাধ্যমের প্রতি আকৃষ্ট করেছে, এবং যে কোনো একটি মাধ্যমের প্রতি একনিষ্ঠতা বজায় রাখা তাই তার কাছে এই মুহুর্তে কঠিন বলে মনে হয়। নিজেকে শিল্পী হিসাবে তাই সর্বঘটের কাঁঠালিকলা বলে থাকেন।
সাজানো প্রত্যেকটি ছবিই আমাদের দৈনন্দিন অগোছালো জীবনের প্রতিচ্ছবি। মোমরঙে মুহুর্ত ধরে রাখার আশায় কল্পনাপ্রবণ শিল্পী বুঁদ হয়ে আছেন। ছবিগুলি যেন প্রবাহ, এমন যেন দর্শক এই ঘর থেকে ওই ঘর ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর ঘরের মধ্যেই প্রতীকী রঙের খেলায় মিশে যাচ্ছেন।
বেড়ালের উপকথা
আহ্লাদী
বৃষ্টি বা মেঘলা দিনে আমার বিড়ালগুলো আহ্লাদী হয়ে যায় আর খুব আরাম করে ঘুম দেয়। তেমনই একটা দিনে এই ছবিটা আঁকা। ওষুধ-খোসার ছড়াছড়ির মাঝে দাদার যায়গাটা দখল করে তাদের আরামঘুম প্যাস্টেলে দাগিয়ে রেখে দিলাম।
রুটিন
ঘুম থেকে উঠে বিড়ালদের না কচলালে আর কড়া করে রঙ চা না খেলে মাথা ভুমভুম করতে থাকে, চোখে কম দেখি, কানে কম শুনি এবং ইত্যাদি ইত্যাদি..
ঘুরঘুর
শীতকালে বাসায় প্রচুর শাক-সব্জি কেনা হয়। ব্যাগ ভরা হরেক রঙের শাক সবজি রান্নাঘরের আকাশি টাইলসের উপর ধুপ করে ঢালার পর দেখতে লাগে বেশ। বিড়ালগুলো আগ্রহের সাথে সবজি কাটা দেখে; ভাবে যে তাদের জন্য মাছ বা মাংস কাটা হচ্ছে, এখনি বুঝি দুইটা টুকরা তাদের সামনে ছুঁড়ে মারা হবে। এমন একটা আটপৌরে ঘটনা আঁকার মাঝে আটকানোর চেষ্টা।
মতবদল
বাসায় বিড়াল রাখা নিয়ে মায়ের সাথে যুদ্ধ করার ইতিহাস একদম সিনেমা বানানোর মতো। তবে বর্তমানে দৃশ্যপট পাল্টেছে। এখন তিনি বিড়ালবাহিনীর সাথে শীতের দিনে রোদ পোহান আর আয়েশ করে চা পান করেন।