২০০৯ সালে আয়লা ভেঙে দিয়েছিল সুন্দরবনের মানুষ অধ্যুষিত দ্বীপের বাঁধ সমূহ। অন্যদিকে, জন-বহুল দ্বীপের দিকে না এসে, কেবল অরণ্যের উপর দিয়েই বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল ২০১৯-এর বুলবুল। তাতে সমূহ ক্ষতি হয়েছিল জি প্লট, সাগরদ্বীপের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, মেদিনীপুরের একাংশর।
এখানে আয়লা এবং বুলবুলের করা ক্ষতির তুলনা করা হচ্ছেনা। বরঞ্চ, দুই বজ্রঝড়ের চারিত্রিক তুলনার মাধ্যমে সমগোত্রীয় ঝঞ্ঝা সম্পর্কে সামান্য ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
আয়লার তান্ডব শুরু হয়েছিল ২৩শে মে, ২০০৯। এটা ছিল প্রাক মৌসুমী ঝঞ্ঝা। এ সময়ে বাতাসের জলীয় ঘনত্ব বেশি থাকে। তাই ঝড়ের মোমেণ্টাম বা ভরবেগও প্রভূত হয়। বুলবুলের তারিখ ছিল ১লা নভেম্বর, ২০১৯; এর গতিবেগ আয়লার চেয়ে বেশি হলেও বর্ষা পরবর্তী সময়ে বাতাসের জলীয় ঘনত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় সম্মিলিত ভরবেগ কম ছিল। এখানে আর একটা দিক দেখা জরুরী; ঘটনাটা মরা কোটালে বা ভাটায় ঘটছে না ভরা কোটালে বা জোয়ারে ঘটছে। ভরা কোটালে ঘটলে ঢেউয়ের উচ্চতা দশ ফুট অবধি বেড়ে যেতে পারে।
বুলবুলের ক্ষতি সামলে উঠতেই, ছ’ মাসের ব্যবধানে চলে এল আমফান ও তার এক বছর পরেই ইয়স। আমফান-ও প্রাক মৌসুমী বা প্রাক বর্ষাঋতু ঝঞ্ঝা। এর গতি ছিল বুলবুলের থেকে বেশি ও জলীয় ঘনত্ব আয়লার সমান, কারণ আয়লা ও আমফান দুটোই বছরের প্রায় একই সময় সূচিত হয়েছিল। তাই মিলিত ভরবেগ বিগত দুটি ঝঞ্ঝার থেকেই বেশি। ঝড়ের চোখ যখন পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে পৌঁছয় তখন প্রায় ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে এর দাপট আছড়ে পড়ে আশেপাশের সমস্ত এলাকায়। ঝড়ের চোখের গতিপথের ভবিষ্যদ্বাণী বহু বিষয়ে নির্ভরশীল ও অত্যন্ত জটিল এক বিজ্ঞান, যার মূলে আছে তাপগতিবিদ্যা বা থার্মোডায়নামিক্স। বর্তমান প্রযুক্তিতে উপগ্রহর ছবি ও তথ্য প্রাপ্তির জন্য এই প্রেডিক্শান বা ভবিষ্যত ঘোষণা অনেকটা সহজ হলেও কখনোই সম্পূর্ণ নির্ভুল হতে পারেনা। সৌভাগ্যক্রমে, আমফানের সময় নির্ধারণে এই প্রেডিকসান প্রায় নির্ভুল হয়েছিল। যে সময় ধরে ঝঞ্ঝার চোখ ধীরে ধীরে সাগর উপকূল পেরিয়ে কলকাতার দিকে আসছিল সেই পুরো সময়টাই পঞ্চাশ কিলোমিটার ব্যাসার্ধর সমগ্র এলাকায় চলছিল ১২০ কিমি-১৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি বেগের তুফান। তাপগতিবিদ্যার নিরিখে, এটাই ঝঞ্ঝার চরিত্র। আবহবিদদের প্রায় নির্ভুল প্রেডিকসান সত্ত্বেও উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলির একাংশকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো যায়নি। কলকাতা ও শহরতলির ক্ষতি এবং উপকূলবর্তী এলাকার ক্ষয়ক্ষতি একেবারে ভিন্ন মাত্রার ও ভিন্ন বৈজ্ঞানিক আঙ্গিকের।
শহরতলিতে ঝঞ্ঝার আগে ও পরে কী কী করণীয় তা অনেকটাই প্রথাগত দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণের সাধারণ পাঠের অংশ; এর রূপরেখা তৈরির জন্য আমাদের কাছে বিভিন্ন উন্নত সমাজের নকশা বা প্রতিমানের সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু উপকূলবর্তী এলাকার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র আঙ্গিকে এই রূপরেখা তৈরি করা দরকার অবিলম্বে। এই রূপরেখার মূলত দুটি ভাগ। প্রথমত, ঝঞ্ঝার পরে ও দ্বিতীয়ত, ঝঞ্ঝার আগে।
ঝঞ্ঝা-পরবর্তী করণীয় তালিকা শুরু হওয়া উচিত ঝঞ্ঝা ঘোষিত হবার দিন থেকে। আধুনিক যুগে অন্তত চার থেকে সাত দিন সময় পাওয়া যায়। এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘায়িত ও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে এবং ভবিষ্যতে তা অসম্ভবে পরিণত হতে চলেছে।
করণীয়র মধ্যে পড়ে :
প্রথমত, মানুষ, গবাদি পশু ও খাদ্য সম্ভার স্থানান্তরিত করা। এই প্রথম কাজটিই করা সম্ভবপর হয়ে উঠছেনা। সুন্দরবন ও সংলগ্ন উপকূলবর্তী অনেকাংশের অর্থনীতি আংশিক ভাবে স্ব-নির্ভর বা পারশিয়ালি সাবসিসটেন্ট অর্থাত্ তারা উত্পন্ন খাদ্যশস্যের অনেকটা নিজেদের জমিতে মজুত রাখে। গবাদি পশুও তাদের বাসস্থানের মধ্যেই থাকে। এই পুরো লটবহর নিয়ে স্থানান্তর প্রায় অসম্ভব। তাই এই স্ব-নির্ভর অর্থনীতির একটা যথাযথ বিকল্প দেওয়াই একমাত্র কর্তব্য, যা ঝঞ্ঝা পরবর্তী করণীয়র তালিকা থেকে প্রাক-ঝঞ্ঝা করণীয়র তালিকায় চলে যায়।
দ্বিতীয়ত, স্থানান্তর যেসব আশ্রয়স্থলে করা হবে সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, ব্যবহার্য জল ও ডিজেল চালিত জেনরেটরের ব্যবস্থা রাখা। গণ খাদ্যের ব্যবস্থা করা এবং এই ব্যবস্থা অন্তত পনের দিন থেকে এক মাস কার্যকরী রাখা আবশ্যক।
তৃতীয়ত, যে সব সামাজিক ত্রাণ বা সাহায্য আসবে তার সুষ্ঠু পরিচালনার ভার এই সব এক একটি আশ্রয়স্থলের আধিকারিকদের ওপর ছেড়ে দেওয়া। গ্রামের যেটুকু স্বাস্থ্য পরিষেবা আছে তা আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণে আনা। বিডিও অফিসের যা ক্ষমতা তা এমন আপত্কালীন পরিস্থিতিতে অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া এবং আধিকারিক নির্বাচনে পঞ্চায়েতকে স্থানীয় সরকারি আধিকারিকদের মেনে চলতে বলার বাধ্যতার নিশ্চিতায়ন; এটিকে দুর্যোগকালীন আইনের আওতায় আনা।
চতুর্থত, গ্রামের মানুষদের মধ্যেই পুনর্নির্মাণের কাজের জন্য বরাদ্দ সরকারি অনুদান ভাগ করে দেওয়া। বাঁধ নির্মানের অর্ধেক কাজ এভাবেই হতে পারে এবং সাধারণ মানুষই এতদিন করে এসেছে। কিন্তু নিজস্ব এলাকায় কাজ করার সময়ে সকলে যদি অঞ্চলকেন্দ্রিক মূল্যায়নে চালিত হয় তখন সেটা বিজ্ঞান ভিত্তিক কখনোই হবেনা এবং এর জন্য সাংগঠনিক স্তরে একটা নিয়মাবলীর আশু প্রয়োজন। এরকম একটা মডেলে কাজ করে ব্যক্তিগত স্তরে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ ও আজকের পরিবেশপ্রেমী কান্তি গাঙ্গুলী।
বিঃদ্রঃ- রায়দিঘিতে আমফানের পর এই পুনর্নির্মাণ ভবিষ্যতে কান্তি মডেল হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ঝঞ্ঝা-পূর্ব করণীয়র তালিকা তৈরি করতে গেলে প্রতি বছরের তালিকা যোগ করে একটা পাঁচ বছরের সম্মিলিত করণীয় তালিকা তৈরি করা জরুরি।
প্রথম কাজ — বাদাবনের (ম্যাংগ্রোভ) সমৃদ্ধি। শোনা যায়, ঝঞ্ঝার চোখ বা আই অফ স্টর্ম বাদাবন ঘুরিয়ে দেয়। এটা খুব একটা ভুল নয়। বস্তুত যে কোনো অরণ্যই জনপদকে ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচাত সক্ষম। সমুদ্রোপকূলবর্তী নোনা জলে বাঁচতে পারে একমাত্র ব্রাকিশ ম্যানগ্রোভ বা নোনা জলের বাদাবন। সুন্দরবন অঞ্চলের বাদাবন, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বা ঝড় প্রশমন ক্ষমতার উপর গবেষণা মূলক কাজ এখনো অবধি সুচারুভাবে শুরু করা হয়নি। বাদাবনের ওপর এই গবেষণা বঙ্গীয় উপসাগরের আসন্ন বিপদ কে মন্দীভূত করতে পারে। তবে যদি মনে করা হয় যে হল্যাণ্ডের মত উন্নত মানের বাঁধ তৈরি করে সুন্দরবনের পঞ্চাশের ওপর দ্বীপের অসংখ্য মানুষকে অনায়াসে বাঁচানো সম্ভব, তাহলে এই ধারণা ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রায়ই শোনা যায়, যে সরকার বাদাবন রোপণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এমনটা ভাবা হয় যে সুন্দরবনের বাদাবন লবণাক্ত জল ছাড়া বাঁচে না। এটা সম্পূর্ণ রূপে সত্য নয়। সুন্দরবন অরণ্য মিষ্টি জল চায়। যে কোনও ঘন অরণ্যই ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বিপদমুক্তি ঘটাতে সক্ষম। কিন্তু সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় যে কোনও উদ্ভিদ বাঁচতে পারেনা। তাই সুন্দরবনের লোনাজলের বাদাবন এত বিশিষ্ট। এরা লবণাক্ত জলে বেঁচে থাকার ক্ষমতা সম্পন্ন। সমুদ্রের জল থেকে মিষ্টি জল শুষে নিয়ে এরা বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এই লবণাক্ত জলে বেঁচে থাকার পরেও এদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও বংশবৃদ্ধির জন্য মোহনায় মিষ্টি জলরেখার মিশ্রণ একান্ত প্রয়োজন। মাতলা মিষ্টি জল থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। বিদ্যাধরীর জল ক্ষীণ। ইছামতীর জল অনেকটাই বাংলাদেশে চলে গেছে। পশ্চিমবঙ্গীয় সুন্দরবনের বাদাবন মোহনায় নদীর মিষ্টি জল চায়। অতীতটা কিন্তু/যদিও এরকম ছিল না। হুগলি থেকে এবং বর্ষায় প্লাবিত হয়ে অসংখ্য মিষ্টি জলকণা এসে পড়ত মাতলায়। বিদ্যাধরী ছিল সমৃদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবনের বাদাবনের জন্য এখন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল মাতলা নদীতে মিষ্টি জলের পরিমাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা সেরকম কঠিন কোনো কাজ নয়। এটাকে প্রধান এজেণ্ডার মধ্যে আনা কর্তব্য/দরকার। কীভাবে মাতলায় মিষ্টি জল ফেরানো যায় তার মানচিত্রর খসড়াও সুন্দরবন প্রেমীদের কাছে আছে ব্যক্তিগত স্তরে। এই মিষ্টি জলরেখা হুগলি থেকে মাতলায় সংযুক্ত করার যে কর্মোদ্যোগ, তাতে সুন্দরবনের মানুষদের একশোদিনের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে যে নৌ-পথ নির্মাণে ও নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত কাজে এই জনজাতি ঐতিহাসিক ভাবে বিশ্ব-সেরার তকমা পেয়ে এসেছে সেই বারো ভুঁইয়ার আমল থেকে।
দ্বিতীয় কাজ — সমুদ্র উপকূলবর্তী এই জনজাতির কর্মদক্ষতার অভিমুখ বদল করার প্রয়াস করা যাতে তারা ক্রমে এই রাজ্য তথা দেশের অন্য এলাকায় থাকার উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। এক কথায় এলাকার জনস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ ও তাদের অপর জায়গায় অভিপ্রয়াণের যোগ্য করে তোলা। অবশ্য এই পদ্ধতি যেন কোনও ভাবেই মরিচঝাঁপির মত অমানবিক না হয়!
তৃতীয় কাজ — দ্বীপসমূহতে ও উপকূলবর্তী এলাকায় কৃত্রিম ভাবে উচ্চভূমি তৈরি করে আবাসন নির্মাণ ও নদী বা জলরেখা থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে জনবসতি অপসারণ করা।
চতুর্থ কাজ — জমির পাট্টার পরিবর্তন করা বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা। যদি জমি বিক্রয় করতে হয় তো সেটা একমাত্র সরকারকেই করতে হবে, এই আইন প্রণয়ন করা। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে এই মানুষজন অরণ্য দফতরের কাছে ভাল দামে নিজেদের জমি বিক্রি করতে উদ্বুদ্ধ হয়। এই টাকায় পুনর্বাসন সম্ভব হবে ওই পরিবারটির অপর কোনও দূরবর্তী স্থানে।
পঞ্চম কাজ — প্রতি দ্বীপে চাল মজুতের সরকারি পাকা গুদাম তৈরি করা, এবং অতিরিক্ত চাল কিনে নিতে হবে যেন সরকার কিনে নেয়। এই পদ্ধতি আংশিক ভাবে স্ব-নির্ভর বা পারশিয়ালি সাবসিসটেন্ট অর্থনীতির মনন থেকে জনজাতিকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
ডাম্পিয়ার-হজের চিহ্ন রেখা অনুসারে ১৮২৯-৩০ সালে সুন্দরবনের সীমানা নির্ধারিত হয়। উইলিয়াম ডাম্পিয়ার ও আলেকজান্ডার হজ হলেন সেই দুই ব্যক্তি যারা জরিপ করে এই সীমারেখা নির্ধারণ করেছিলেন। দীর্ঘসময় ধরে দ্বীপ সমূহের ভৌগোলিক আয়তন কখনো বেড়েছে, কখনো কমেছে। ১৮৬২ সালে, ৪৫ কিমি দীর্ঘ রেললাইন পাতা হয় অধুনা শেয়ালদা থেকে ক্যানিং বন্দর অবধি। ১৮৫৭ র সিপাহী বিদ্রোহের পর কোম্পানি তেড়েফুঁড়ে ওঠে ব্যবসায় দ্রুত সাফল্যের জন্য। রেল লাইন পাতার পাশপাশি, হুগলি নদীর নাব্যতা কমে যাবার আশংকায় বিদ্যাধরী ও মাতলার সঙ্গমস্থলে ক্যানিং নদী বন্দর স্থাপিত হয় । এক বিশাল বনাঞ্চল সম্পূর্ণ সাফ করে ফেলা হয়। বিপুল পরিমাণে বাদাবন কেটে ফেলায় সামুদ্রিক ঘূর্ণি ঝড়ে সহজেই আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তী ঝঞ্ঝায় (২রা নভেম্বর, ১৮৬৭) ক্যানিং বন্দর সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ক্যানিং-এ যে দিক থেকে বিদ্যাধরীর মিষ্টি জলরেখা আসছিল তা ক্রমশ গেছিল বুজে; তৈরি হয়েছিল নদী বাঁধ; স্থাপিত হয়েছিল বসতি। সময় এসেছে এই হঠকারিতাকে প্রশমিত করার, নচেত্ একদিন এই দক্ষিণ বঙ্গের ভৌগোলিক সীমারেখা একেবারে বদলে যাবে। বাঙালির শখের কলকাতা ফের ভরে যাবে নোনা জলে আর গড়িয়াতে ফের দেখা যাবে গুড়িয়া প্রজাতির বাদাবন, অথবা এন্টালিতে হেতাল গাছের ঝোপ। এই অঞ্চল গুলোকে সঙ্গে নিয়েই হয়ত প্রকৃতি আবার ফেরত চলে যাবে অতীতের এক নিরাপদ অবস্থানে।
*****
প্রচ্ছদ : স্বাগতা বোস