চাঁদিপুর
মাঝেমাঝে সমুদ্রের কবিতা পড়ার মগ্ন উচ্চারণ শুনতে পাচ্ছি। মাঝেমাঝে উতল হাওয়ার নগ্ন ঝিনুক প্রেম উঁকি মেরে দেখে নিচ্ছি।
এই সেই চাঁদিপুর। যেখানে চাঁদ রুপোলি বালিতে লজ্জায় মুখ ঢেকে মুক্তোর অশ্রু বিসর্জন করে।
এখন আমি কী করি !
পান্থনিবাসের উটের মতো গলা উঁচিয়ে থাকা ব্যালকনি থেকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে যাচ্ছি। যে-সিঁড়ি দিয়ে তুমি উপরে উঠেছিলে সংসারের সাত রিল সুতো গুটিয়ে।
তাই তো তোমাকে পেলাম রাতের গন্ধে দিনের ছন্দে— হে খুশিবালি।
অন্ধকারের কোনও বানান হয় না
যে-অন্ধকার ঘরে তুমি বাস করছ
তার কোনও দরজা নেই,
তাই ছাদ ফুঁড়ে নির্গমনের পথ নির্মাণের শক্তি
তোমাকেই অর্জন করতে হবে।
দুএকটি জানালা আছে,
ইশারা অবিরত,
আর দধীচি-গরাদ। কবেই
তার মজ্জা শুকিয়ে গেছে।
এই রাত শুধু লিখে যায় অন্ধকারের বানান।
কবে আলো এসে
তা যুক্তাক্ষরহীন উচ্চারণ করবে?
সেই আশা নিয়ে,
আমি ছোটো এক টাকার কয়েনের মতো
অপলক ক্ষুৎকাতর দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকি দুঃখের সানকিথালায়।
জানি, অন্ধকারের কোনও বানান হয় না।
মিমঙ্ক্ষা
ওড়না সরে যাওয়ার বাতাস আমার অঙ্গে মহুয়াসুর তোলে।
স্তনযুগের আলতো শোভায় ভালোবাসা ঘন হয়ে ওঠে।
কাঁকতালের ফাঁকে আমার যাযাবর খিদে ঘুরপাক খায়।
চিরুনির দাঁড়ে উঠে আসে সময়ের নামতার শুভ্রকেশধ্বনি।
ঝুলন্ত স্বপ্নের মিথস্ক্রিয়ায় দুলতে থাকে বেলজিয়ম শার্সিসমুদ্র।
সন্ধ্যার জ্যোৎস্না মাখানো জুঁই মালা থেকে চুঁয়ে পড়ে অতুল মিমঙ্ক্ষা।
দুই ঊরুদেশে গিরিখাতের ঢল নেমে যায় জলজ সুরের সম্মোহনে।
সিগারেটের ধোঁয়ায় ঊরুভঙ্গের ইচ্ছে পাহাড়ি ঝরনার শব্দের মতো মিলিয়ে যায়।
প্রচ্ছদঃ সুমন মুখার্জী
*****