পর্ব ১০
পর্ব ১২
পর্ব ১০
পর্ব ১২
-১১-
একখানি শাদা ধবধবে টাট্টু ছুটিয়া আসিতেছে তাহার দিকে। ছুটিয়া নহে, প্রকৃতঅর্থে উড়িয়া আসিতেছে বলিয়া মনে হইল মানদার। টাট্টুটিকে বড়ই চেনা চেনা ঠেকিতেছে! কোথায় দেখিয়াছে? কোথায় দেখিয়াছে উহাকে? ওহো! ইহা তো সেই সূর্যকান্তবাবুর টাট্টু। কিন্তু মানদা না সূর্যকান্তবাবুকে দেখিয়াছে, না দেখিয়াছে তাঁহার টাট্টুকে। তাহা হইলে ইহাকে চেনা মনে হইতেছে কেন? কেন মনে হইতেছে ইহাকে ধরিয়া আদর করি খানিক! সত্যই সে গায়ের কাছ ঘেঁসিয়া দাঁড়াইল। তাহার দুইখানি ডানা গুটাইয়া রাখিল কোনখানে? মানদা উহার গলকম্বলে হাত বুলাইতে বুলাইতে ভাবিতেছিল, তাহা হইলে তাহার হাম্পটি ডাম্পটি আর কুট্টুস কোথায় যাইল? উহাদের দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না কেন? এই যে একখানি টাট্টু আসিয়া দাঁড়াইয়াছে তাহার সম্মুখে, উহাদের কুতূহলী মুখগুলির দেখা নাই কেন? কেনই বা এই পরিবারের অন্যান্য মানুষজন এই টাট্টু সম্বন্ধে কোনো কৌতূহল দেখাইতেছে না? লোকজন যাইল কোথায়? আশ্চর্য হইয়া গলা তুলিয়া ডাক দিল মানদা— ‘কই রে হাম্পটি ডাম্পটি, কোথায় গেলি সব? বেবো! দেখে যা কে এসেছে!’ বলিবা মাত্রই তাহার চোখ খুলিয়া যাইল। ভোরের ফিকে আলোয় হাসিয়া ফেলিল মানদা। এইরূপ স্বপ্ন দেখিল সে কেন আজ? তাহার সুদূর চিন্তাভাবনাতেও টাট্টুর লেশ মাত্র ছিল না। তবে হঠাৎই সে তাহার স্বপ্নে উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিল কেন কে জানে!
আজিকে কর্মরত অবস্থাতেও মানদার বারংবার সেই উড়ন্ত টাট্টুর কথা স্মরণে আসিতে লাগিল। কাহাকে বলিয়া ভার লাঘব করিবারও নাই এই ক্ষণে। কেহই বুঝিবে না অথবা বুঝিবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করিবে না এই গৃহে। একমাত্র বেবোকে বলিলে সে বুঝিবে। মনে হইবা মাত্র মানদা বেবোর তল্লাশে ছুটিল। কাহাকেও না বলিলে তাহার আজ শান্তি নাই! নতুবা এই অসময়ে বেবোর মাতার কটুবাক্য শ্রবণে তাহার রুচি আসিত না। উহাদের ঘরের সম্মুখে আসিয়া মানদা মৃদু স্বরে ডাকিল—বেবো, আছিস বাবা? তাহার সেই স্বর বেবোর কর্ণে প্রবেশ করিবার পূর্বে তাহার মাতা ঘরের দরোজায় আসিয়া দাঁড়াইল। কর্কশ কণ্ঠে কহিল, ‘কেন? বেবোকে কী দরকার?’ ততোধিক মৃদু স্বরে মানদা উত্তর করিল, ‘না না দরকার কিছু না। এমনিই…’ ‘অ! আহ্লাদ দেখাতে এসেছ! আলগা পিরীত! শোনো হে! নিজের কাজ কর গিয়ে। আমার ছেলের ভাবনা আমি বুঝে নেব’। এইরূপ বাক্যের পর তিনি গজগজ করিতে করিতে ঘরে ফিরিয়া যাইলেন…কোত্থেকে যে এই সব ঝি-চাকর এত লাই পায় কে জানে! মরমে মরিয়া যাইল মানদা। ঝিই তো সে বটে। এই গৃহে ঝিয়ের অধিক সমাদর দিবার মনুষ্য আর নাই। তাঁহারা মরিয়া বাঁচিয়াছেন। মানদার যে কবে মরণ আসিবে! আঁচলে মুখ মুছিয়া ফিরিয়া যাইতে উদ্যত হইলে সহসা তাহার আঁচলে টান পড়িল। ফিরিয়া দেখিল, বেবো। মানদার হাত ধরিয়া সে চলিতে লাগিল। আর কহিল, ‘ওদের কথায় মন খারাপ কর না তুমি। আমাকেও কত্ত কী বলে, আমি কি তোমার মতো মুখ ভার করি?’ চক্ষু উপছাইয়া অশ্রু নির্গত হইল মানদার। বেবোর মুখচুম্বন করিয়া সে আলগা হাসিল। যাইতে যাইতেই তাহাকে টাট্টুর গল্প বলিয়া তবে সে শান্ত হইল। কিন্তু কিছু পরেই মনে হইল, বেবোর প্রতিক্রিয়া তদরূপ নহে। ঈষৎ বিষণ্ণ চিত্তে সে বলিল, ‘বাবা একটা কাঠের খেলনা টাট্টু কিনে দিয়েছে ভাইবোনেদের। আমায় চড়তে না দিলে কী হবে? ওরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি লুকিয়ে চেপেছি ওই কাঠের ঘোড়ার পিঠে। দুলতে বেজায় মজা লাগে, জানো!’ মানদা হাসিল, ‘তাই বুঝি? তবে তোর মুখটা অমন শুকনো পারা কেন রে?’ বেবোকে নিরুত্তর দেখিয়া মানদা বুঝিল। রান্নাঘর হইতে দুইখানি সন্দেশ আর একটি কলা আনিয়া বেবোর হাতে দিল। কোনো কথার অবকাশ না দিয়া সে বেচারি গোগ্রাসে সব খাইয়া লইল। বেবোর ক্ষুধার্ত মুখে ধীরে ধীরে আলো ফুটিতে দেখিয়া মানদার অদ্ভুত তৃপ্তি হইল। ইতিমধ্যে বেবো নতুন ছানা তিনটিকে এক ঝলক দেখিয়া কুট্টুসের সহিত খেলিতে শুরু করিয়াছে। এই তিনটি ছানার প্রতি উহার তত নজর নাই। বড় হইলে কী হইবে কে জানে! মানদাও কি আর এই তিনটি ছানাকে লইয়া তত আদিখ্যেতা করিয়াছে? উহাদের নিজ ঘরেও প্রবেশাধিকার দেয় নাই। তাহার ও বেবোর নিজস্ব জগতে হাম্পটি ডাম্পটির পরে কেবল কিট্টির অধিকার রহিয়াছে। এই তিনগাছাকে মানদা আপন করিতে পারিবে না।
বেবো যাইবার উপক্রম করিলে মানদা জিজ্ঞাসা করিল, ‘হ্যাঁরে, তোকে নতুন মা জল খেতে দেয়নি সকালে?’ ‘না’। অধোবদনে সে বলিয়া চলিল, ‘আমার খুব খিদে পেয়েছিল আজ। তাই খেতে চেয়েছিলাম। তখন নতুন মা আবাগীর ব্যাটা, কুলাঙ্গার, হাড়হাভাতে বলিয়া গালি দিতে দিতে আমাকে ঘরে আটকে রেখে দিয়েছিল। আচ্ছা মানদা পিসি, আবাগীর ব্যাটা কাকে বলে?’ মানদা পুনরায় ক্রন্দন মুখর হইয়া পড়িল। বেবোকে আদর করিয়া বলিল, ‘যা বলে বলতে দে। তুই শুধু পড়াশুনো কর মন দিয়ে। নতুন মার মুখে মুখে উত্তর দিবি না। আর খিদে পেলে আমার কাছে চলে আসবি’। বেবো ঘাড় নাড়িয়া বিদায় লইল। উহার যাইবার পথের দিকে তাকাইয়া মানদা অস্ফুটে উচ্চারণ করিল—যার মা নেই, তার কেউ নেই। ওই স্থান দিয়া সেই সময়ে যাইতেছিল বুড়া মদন। সে দাঁড়াইয়া পড়িল। ‘কার মা চলে গেল রে মানদা?’ তাহার প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলিল না সে। বরং ঘাড় নাড়িয়া বলিল— ‘ও কিছু না, তুমি যাও।’ চলিয়া যাইতে যাইতে মদন স্বগতোক্তি করিল— ‘মা না থাকলেও মানুষ বেঁচে থাকে। আমারও তো সেই ছেলেবেলা মা চলে গেছে কলেরায়, আমি কি মরে গেছি? এতখানি বয়স হল, এখনও মরিনি, দিব্য আছি!’
কিন্তু সেই মুহূর্তে বারবাড়ির সদরের দিক হইতে কিছু ভাঙিয়া পড়িবার ভারি শব্দ আসিল হঠাতই। সচকিত হইয়া দৌড়াইয়া যাইল মদন দাদা। মানদাও চলিল কৌতূহলে। যাইয়া দেখিল, এই গৃহের সদরের মাথায় দুই খানি সিংহের মূর্তি ছিল। সেই দুইটির একখানি ভাঙিয়া পড়িয়াছে। সেই ভারে সদরের এক পার্শ্ব প্রায় ধ্বসিয়া পড়িয়াছে। বাড়ির কর্তারা আসিয়াছেন। চাকর বাকরদের ডাকিয়া ছুতার আর ঘরামির খোঁজে পাঠাইতেছেন। এই দরোজা ভাঙিয়া পড়া যেন এই বংশের ভঙ্গুর অবস্থারই প্রতীক। সিংহের প্রতাপ শেষ। মানদা স্থির হইয়া দেখিতেছিল এইসব। এক্ষণে জোড়াতালি দিবার সময়। বৈকাল হইতে না হইতেই দশ বারোজনা মিস্ত্রী আসিয়া থানা গাড়িয়া বসিল এই গৃহের বহির্বাটিতে। সে এক হৈহৈ কাণ্ড বটে! তাহাদের ছেনি হাতুড়ির নিনাদে প্রত্যুষে ঘুম ভাঙিয়া যাইল মানদার। নিম দাঁতন লইয়া একবার উঁকি দিয়া আসিল সে। ধূলায় ধূলায় ঢাকা পড়িয়াছে তাহার সাধের বাগান। সূর্যের উদার রৌদ্রও সবুজের উপর হইতে ধূসর আস্তরণ সরাইতে পারিল না, আজিকের সকাল যেন মেঘলা হইয়া রহিল। অনাহুত মেঘ আসিয়া ছাইয়া যাইল মানদার মনাকাশে।
দ্বিতীয় বার প্রসবের পর হাম্পটি সুস্থ হইয়া উঠিয়াছে দুই দিনের মধ্যেই। এক্ষণে উহাকে দেখিয়া কেহ বুঝিবেই না, চার মাসের ভিতরে সে দুইবার প্রসব করিয়াছে। বর্তমানে সে চারিটি শাবকের জননী। কিট্টি বড় হইয়াছে ঠিকই, কিন্তু তাহার মাতৃভক্তি বিন্দুমাত্র কমে নাই। দ্বিতীয় প্রসবের দিনে ওইরূপ আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হইলেও কর্মক্ষেত্রে সে শুধরায় নাই আদপে। তাহার তিনখানি ভাইবোনের প্রতি কোনোরূপ মাথাব্যথা দেখিতে পাওয়া যায় না। হাম্পটিও দুই একদিন বাদ হইতেই কিট্টিকে বুকে টানিয়া লইয়াছে। সম্ভবত প্রথম সন্তানের প্রতি সে অতিরিক্ত দুর্বল। এই দুর্বলতার সুযোগ লইয়া কিট্টি মাতৃদুগ্ধের ভার কিঞ্চিৎ লাঘব করিয়া দেয়। হাম্পটিও উহাকে প্রশ্রয় দেয়, উহার সহিত ভ্রমণে নির্গত হয়। এ এক প্রকার মধ্যস্থতা বলিয়া মনে হয় মানদার। বাকি তিনটি সন্তানের চক্ষু ফুটে নাই, উহাদেরও দেখভাল করিতেছে হাম্পটি। আর শাপে বর হইয়াছে ডাম্পটির। কিট্টি হইয়াছে তাহার খেলিবার সঙ্গী। উহাদের দেখিলে সমবয়স্ক সাথী বলিয়া ভ্রম হইবে। দুইজনেই বদমাইশিতে সমান পারদর্শী। কাহাকে ধরিবে, কাহাকে তাড়াইবে, কাহাকেই বা রাখিবে ভাবিয়া কুল পায় না মানদা।
সদর দরোজা খুলিয়া ফেলিয়া নূতন করিয়া বসাইতেছে উহারা। দুইদিন দরোজা না থাকায় বেআব্রু হইয়া ছিল প্রবেশস্থল। নিরাপত্তার খাতিরে অতিরিক্ত পাহারা বসানো হইয়াছে রাতভোর। তদুপরি সেই অনির্বচনীয় কাণ্ডটি ঘটিয়া যাইল। বড়মার মুখে মানদার শোনা ডাকাতির কাহিনীর এত বৎসর বাদে পুনরায় তস্করের উপদ্রব ঘটিল এই গৃহে। ভোর হইতেই শোরগোল পড়িয়া গিয়াছে এই গৃহে। ঠাকুর ঘর হইতে রূপা, তামার বাসন চুরি হইয়াছে নাকি! সঙ্গে গোপালের রূপার বাঁশীটিও গিয়াছে, উহার সোনার মুকুটও নাই! লক্ষ্মীর ঝাঁপির ভিতর কিছু রৌপ্যমুদ্রা আর স্বর্ণমোহর থাকিত বংশ পরম্পরায়। সেই সবও গায়েব হইয়াছে। মা কালীর অঙ্গে হাত লাগাইতে সম্ভবত সাহস পায় নাই চোরে, তাই মায়ের খাঁড়া, হার, বালা আস্ত রহিয়াছে। অর্থাৎ এই তস্কর বাবাজী যে শক্তের ভক্ত, এ তাহার চুরির ধরন হইতেই মালুম হইতেছে। এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসিয়া পড়িল। এই বাড়িতে পুলিশের পদচিহ্ন কবে পড়িয়াছে? তাহাদের গটমট বুটের শব্দে, তাহাদের খাঁকি উর্দি দেখিয়া সকলে ভীত সন্ত্রস্ত হইয়া পড়িল। চাকরবাকর, আশ্রিত—সকলেই ভাবিতেছিল, আর রক্ষা নাই! এইবার জেলের ঘানি টানিতে হইবে নিশ্চিত। মানদার বুকে কম্প দিতেছিল। না জানি কী হয়! প্রথমেই ডাক পড়িল ঝি, চাকরদের। পুলিশের সম্মুখে উহাদের নাকানিচোবানি খাইতে দেখিয়া মানদার ভয় কাটিয়া গিয়া ভারি আমোদ হইতেছিল। কেহ ঠকঠক করিয়া কাঁপিতেছে, কেহ পুলিশের পা ধরিয়া কাঁদিতেছে, কেহ বা অজ্ঞান হইয়া পড়িল প্রায়। এমনকি মদন দাদাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করিতে ছাড়িল না উহারা। সকলকে বাড়ি ছাড়িতে মানা করিয়া এ যাত্রা উহাদের নিস্তার দিল পুলিশ। হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিল সকলে আপাতত। তবে কিনা বলে—বাঘে ছুঁইলে যদি আঠারো ঘা হইয়া থাকে, পুলিশে ছুঁইলে ৩৬ ঘা। অর্থাৎ ফাঁড়া এক্ষণেও রহিয়া যাইল।
মানদা একগলা ঘোমটা দিয়া পুলিশের সম্মুখে দাঁড়াইল। ‘কতদিন এ বাড়িতে আছ? বাড়ির বাইরে যাও? আত্মীয় স্বজন কেউ আসে এখানে? তুমি কি এ বাড়ির ঝি?…’ দীর্ঘ প্রশ্নমালার উত্তর একে একে সংক্ষেপে দিল মানদা। প্রথমে স্বর কাঁপিয়া যাইতেছিল, পরে ভয় কাটিয়া যাওয়ায়, তাহার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব স্বরে ও বিভঙ্গে ফুটিয়া উঠিতেছিল। পুলিশও উহাকে আর বেশি ঘাঁটায় নাই। তবে অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদ করিয়াছিল ওই মিস্ত্রীদিগকে। উহাদের বদ্ধমূল ধারণা যে ইহারাই চুরি করিয়াছে বা সাকরেদ দিয়া করাইয়াছে। এবং উহাদের ধারণা যে মিথ্যা ছিল না, তাহা বুঝা যাইল কয়েক ঘন্টা বাদেই। ওই জন্যই কথায় বলে অভিজ্ঞতায় কেশপক্ক। পক্ক কেশধারী দারোগা বাবুর যে ভুল হয় নাই, অচিরেই প্রমাণিত হইল। শ্রীঘরের বাসিন্দা হইতে হইবে না—এইরূপ আশ্বাস পাইয়া আর সাথে রুলের গুঁতা সহ্য করিতে না পারিয়া দুই জন মিস্ত্রী সকল ষড়যন্ত্র ফাঁস করিয়া দিল। সারাদিন টানটান উত্তেজনার পর এই গৃহের বাসিন্দারা জানিতে পারিল, ওই মিস্ত্রীদের চারজন স্যাঙ্গাৎ আসিয়া পাহারাদারদের সহিত ভাব জমাইয়াছিল বৈকাল হইতে। উহারা নাকি তাহাদের দেশোয়ালি ভাই। সহজেই আপন হইয়া উঠিয়াছিল উহারা, বিশ্বাসযোগ্যও। সন্ধ্যার অবসরে পাহারাদারদের ভাঙ্গের শরবত খাওয়াতে চাহে তাহারা। প্রথমে না না করিলেও লোভ সম্বরণ করিতে পারে নাই বেচারারা। আর তাই শরবতের ভিতর ঘুমের ঔষধের প্রভাবে গাঢ় নিদ্রায় ঢলিয়া পড়ে উহারা। ইহার পর অবলীলায় অলঙ্কারাদি সাফাই করিয়া লয় উহারা। অন্যান্য মিস্ত্রীরা সাধু সাজিয়া এই গৃহেই রহিয়া যায়। যাহা হউক, শেষ পর্যন্ত ঠাকুরের অলঙ্কার, তৈজসপত্র আদায় করা যাইল এক গোপন আস্তানা হইতে। যে দুই জন রাজসাক্ষী হইয়াছিল, তাহারা ব্যতীত বাকিদের শ্রীঘরে যাইতে হইল। মধ্যাহ্নভোজনের পর মানদা ভাবিতেছিল বড়মার কথা। তাঁহার বর্ণিত ডাকাতির কথা… (ক্রমশ)
প্রচ্ছদঃ সুমন মুখার্জী