দিনাজপুরে সোহানী থাকত
১/
থিন বিস্কুটের সঙ্গে আজ আমার হেভি ঝগড়া হল।
নোনতা বিস্কুটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালাম
একা ও কয়েকজন
আসুন-বসুনের নতুন বান্ধবী ‘চিনি’
হেরিকেনের আলোয় বিস্ফোরণ বিষয়ে
আলোচনা করছে
কাপ ও ডিসের সঙ্গে
একদিন সমুদ্র আসবে সৈকতের কাছে
একদিন কাঁচা মুগের ডাল দিয়ে
মৃত্যু মাখা হবে শিয়রে তোমার
এইসব ভাবতে ভাবতে আমাদের
ম্যানগ্রোভ দেখার আগ্রহ অরণ্যে হারায়
আমাদের নিরাপদ বিস্কুট অতিরিক্ত
নুনে ও লবণে লুপ্ত হয় বিছানার কিনারে
এইভাবে থিন বিস্কুটের সঙ্গে আমার
ঝগড়া হঠাৎ নীরবতা পেয়ে জল ও
জলতরঙ্গের রূপ পায়…
২/
তোমার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। ব্যবহার
আসলে একপ্রকার আসবাব – একধরণের ইন্টেরিয়র
ডেকরেশন!
তোমার ব্যবহার আমাকে চা খাওয়ালো, ঘুরেঘুরে
বাগান দেখালো। তোমার ব্যবহারে কত ফুল, কত
পাখি। তোমার ব্যবহারে বারুদ নেই, দেশলাই নেই।
নেই দ্রুতগতি ট্রেনের ভয়ঙ্কর আঙ্গিক।
আমি তোমার ব্যবহারের পাশে একটু বসব? একটু
আলতো মাথা রাখব তোমার ওই ভেজা ব্যবহারের
কোলে? রাখব?
তোমার
জ্যান্ত ব্যবহার যেন একটা পুকুর, ঢেউ নেই কিন্তু
স্রোত আছে অল্প।
আমি একটু বসব, তোমার শান্ত স্থির স্রোতের কাছে?
তোমার সাজানো আসবাবের কাছে?
৩/
ওষুধের শিশি দিনান্তে ঘুমিয়ে পড়েছে।
দিনাজপুরে সোহানী থাকত, এখন
সূর্যাস্তে থাকে।
আমাদের সন্ধেটুকু হঠাৎ
রাত্রির রাজনীতির দিকে
ঘুমে ঢলে পড়ে।
ছোটকাকু ক্যারামবোর্ড কিনে দিলে
আমরা বুঝতে পারি ভোট উৎসব
খুব কাছেই।
ঢেউ তুলে এসেছিলে
যাচ্ছ মার্চমাস হাতে।
খিদে আসলে একটা ফুলগাছ,
জল দিলে বাড়ে, মন অবধি।
আশ্রয়ের মতো দিন –
শুশ্রুষার মতো বিটিরোড।
আমাদের গন্তব্যের কাছেই,
কুকুরের বাঁকা লেজ
সোজা করার এক বিরাট কারখানা।