শিকার – দিলীপ কুমার ঘোষ

৷৷ মানসকথন৷৷

  না, আর কিছুতেই ছাড়া যাবে না।

 আয়েষা কয়েক দিন ধরেই বলছিল। আমার ঠিক ইচ্ছা করছিল না। শেষবারের অভিজ্ঞতা আমার মনে তীব্র অনিচ্ছার বীজ বুনে দিয়েছিল। কিন্তু যেই সে আমাকে ছুঁলো, আমার মনে ভয়-অস্বস্তি-বিরক্তির উদ্রেক করল, আমার মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহাটা জেগে উঠল। ওকে ঘেন্না করছিল আমার।

সেই মুহূর্তেই ওর শাস্তির বন্দোবস্ত করে ফেললাম। আমার মনে এইভাবে আতঙ্ক না ছড়ালে কোনও পদক্ষেপ আদৌ নিতাম না। কতদিন যদিও জানিনা, তবে আয়েষা নিতান্ত বাধ্য না করলে সেটা দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।

 আমার কিচেনে ঢোকার কথা ছিল না। বিশেষ করে রাত এগারোটায়। টুথপেস্টের খোঁজে ঢুকেছিলাম। আয়েষা জানত না। তাহলে আর একবার আমাকে বলত। কিচেনে পা রেখে আলোটা জ্বালার আগেই খড়মড় করে ছুটোছুটির আওয়াজে বুকটা একটু ধড়ফড় করে উঠেছিল। তাক থেকে টুথপেস্টটা হাতে নিয়ে ফেরার পথেই আমার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ধাক্কা এবং একটা খোঁচা লাগার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি। প্রায় লাফিয়ে উঠলাম। মানুষ ভয় পেলে এবং ভয় পাওয়ার কারণটা তুচ্ছ হলে রেগে যায়। আর রাগটা গিয়ে পড়ে সেই তুচ্ছ কারণটার ওপর। সেই সূত্র মেনে রেগে গেলাম বেচারা নেংটিটার ওপর! ভাবলাম, না, ওকে আর ছাড়লে চলবে না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাকে কিনা চমকে দেওয়া, ভয় পাওয়ানো! এর শাস্তি ওকে পেতেই হবে।

  মাউস গ্লু-প্যাডটা পেতে দিলাম কিচেনের মেঝেতে। এর আগে প্যাডটা কোনওদিন কিচেনে পাতা হয়নি। বেডরুমে পেতেছি। একবার একটা, পরেরবার দু’টো এবং শেষবার একটা নেংটির সঙ্গে দু’টো টিকটিকি আঠাতে আটকেছে। রাবার থেকে তৈরি এমন এক আঠা, যা থেকে আটকে যাওয়া প্রাণীর কোনওমতেই নিষ্কৃতি নেই। একবার আটকালে আটকে থাকতে ওরা বাধ্য। যত পালানোর চেষ্টা করবে তত বেশি আঠায় জড়িয়ে ওদের দফারফা হবে। মৃতপ্রায় জীবগুলোকে আঠা থেকে ছাড়িয়ে গ্লু-প্যাডটা পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলাটাই কঠিন। প্রথমবার খুব একটা অসুবিধা হয়নি। নেংটিটা ধারের দিকে আটকেছিল। একটা শক্ত কাঠি দিয়ে গ্লু-প্যাড থেকে সেটাকে তুলে ফেলেছিলাম। দ্বিতীয়বার নেংটি দু’টোকে ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। প্যাডের মাঝখান থেকে সেগুলোকে খুলতে গিয়ে যে কী গলদঘর্ম অবস্থা! কাঠি ভাঙল, প্যাড ছিটকে গেল। নেংটির লোম আটকে প্যাডের বিশ্রী দশা! কিন্তু শেষবারের অভিজ্ঞতার কথা ভাবলেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে। বমি পায়। নেংটিটার পেটের কাছ থেকে অনেকটা লোমশ ছাল উঠে প্যাডে আটকেছিল। টিকটিকি দু’টো খন্ড খন্ড হয়ে আটকে যাচ্ছিল। রক্ত ছিটকে, লোম আটকে, দেহ নিঃসৃত বর্জ্য পদার্থ জড়িয়ে প্যাড নোংরা হয়ে গিয়েছিল। সেই নোংরা গ্লু-প্যাড আমি মুড়ে রেখে দিয়েছিলাম। আর ব্যবহার করার ইচ্ছা হয়নি।

  কিন্তু প্রেমে যেমন ‘সকলই শোভন, সকলই বিমল’ বলে মনে হয় তেমন আক্রোশেও বোধ করি  শুদ্ধ-অশুদ্ধ, পরিষ্কার-অপরিষ্কারের কোনও ভেদাভেদ থাকে না। যে গ্লু-প্যাডটা আর ছুঁতে ইচ্ছা করত না সেটাই হাতে ধরে খুলে পেতে দিলাম। অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড সোপ দিয়ে হাত দু’টো ভাল করে পরিষ্কার করে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।

  বেডরুমে ফিরতে আয়েষা বলল, ‘এত দেরি?’

 ‘ক’দিন ধরে তুমি বলেছিলে না, কিচেনে ইঁদুরের জ্বালায় তুমি অস্থির হচ্ছো। তাই প্যাডটা কিচেনের মেঝেতে পেতে দিয়ে এলাম।’

  ‘এত দয়া?’

  ‘বেগম সাহেবা কি মনে করেন, তাঁর প্রতি বান্দার বিন্দুমাত্র নজর নেই?’

  ডান হাতের তর্জনী দিয়ে আয়েষার নরম-গোলাপি বাঁ গালটা ছুঁয়ে দিলাম।

  আয়েষা ডান হাত বাড়িয়ে আলতো করে আমার অস্থির তর্জনী ধরে হেসে উঠল। হাসিতে যেন হিরে ঝলকাল। চোখে-মুখে সেই অপার্থিব হাসির উদ্ভাস ধরে রেখে বলল, ‘কিন্তু জাঁহাপনা, আপনার নেকনজর থেকে কতদিন যে এ বাঁদী বঞ্চিত তা কি আপনার খেয়াল আছে ?’

 কিচেন থেকে কিচকিচ করে একটা আওয়াজ ভেসে এল না? নেংটিটা কি তাহলে প্যাডে আটকেছে? নিশ্চয়ই ছাড়াবার চেষ্টা করছে নিজেকে? কিন্তু কোনও লাভ নেই। কলে আটকে পড়লে তবু পরদিন সকালে দয়া দেখালে বাঁচলেও বাঁচতে পারে। আঠায় আটকালে কিন্তু চোখের সামনে আস্তে আস্তে মৃত্যুকে দেখতে পাওয়ার আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়াই ভবিতব্য। এর থেকে ইঁদুর-মারার-বিষে যন্ত্রণায় ছটপট করতে করতে মরাও অনেক পদের, সেখানে তাও নিজের ইচ্ছা মত কিছুটা ঘুরে-বেড়িয়ে-দৌড়ে মরা যায়। আর যদি বেড়ালের মুখে পড়ে? সে তো একরকম বলতে গেলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ!

৷৷ আয়েষাচিন্তন ৷৷

  ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে চাইলে মশা মারতে হয়। মশা মারার সময় কেউ বাছাবাছি করে না, সব মশাই মারে। অবশ্য ভ্রূণাবস্থায় তাদের নষ্ট করতে পারলে সবচেয়ে ভাল।

  মানসকে কলেজে শিক্ষিত সহকর্মীদের এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছে। স্বভাবতই মানসের ভাল লাগেনি। কিন্তু আমি ভাবছি মানসের জীবনে আমি না থাকলেও কি ওর একই রকম খারাপ লাগত? এসব কথায় ওর অস্বস্তি হয় নাকি সত্যিই ভিতর থেকে খারাপ লাগে আমি ঠিক বুঝতে পারি না। মাতৃনিন্দা, পিতৃনিন্দা শুনলে অথবা বাবা-মা সম্পর্কে গালিগালাজ শুনলে মানুষ যে অপমানবোধে পীড়িত হয়, এক্ষেত্রে কি ওর অনুভূতি তেমনই? খারাপ লাগাটা খুব গভীরে স্পর্শ করলে— সেটা যাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমার বিষয়টা কত খারাপ লাগতে পারে, সেটা ভেবে আমাকে এসব না জানানোটাই কি ওর সংবেদনশীলতার সঠিক পরিচয় হত না! তা না করে ওর খারাপ লাগাটা আমাকে জানিয়ে ও আসলে ঠিক কী প্রমাণ করতে চায়?

  আচ্ছা, ওর জায়গায় আমি থাকলে আমার প্রতিক্রিয়া কী হত? এ নিয়ে ভেবে লাভ নেই, কারণ বিষয়টা সেক্ষেত্রে আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার মতো জায়গা পর্যন্ত গড়াতই না। বীরপুঙ্গবেরা কখনওই আমার সামনে এমন মন্তব্য করার মূর্খামি করত না। আসলে এরা সব মেঘের আড়ালে মেঘনাদ। যদি ভুল করে কেউ উচ্চারণ করেও ফেলত, অন্যরা ঠিক বিষয়টাকে আমার পক্ষে এনে ম্যানেজ করে ফেলত। বিতর্কে এদের বড় ভয়। তাতে অনেক অস্বস্তিকর সত্য প্রকাশিত হয়। সমালোচিত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে একতরফা সমালোচনাই এদের কাছে উপাদেয়।

  মানস আমার অবস্থানে থাকলে ওর কেমন লাগত? নিজেকে হীন মনে হত? মিথ্যা সমালোচনায় জর্জরিত মনে হত? ব্যক্তিগতভাবে দোষী না হয়েও সমষ্টির দায় নিজের কাঁধে চাপায় বিব্রত বোধ করত? আমার কারণে অস্বস্তি হচ্ছে বলে ও নিজেকে অপরাধী মনে করত?

  আমার গর্ভস্থ সন্তান কোন পরিচয়ে পৃথিবীতে আসছে? সে কার প্রতিনিধিত্ব করবে? আমার, না মানসের? জন্মানোর আগেই কি তাকে ঠিক করে নিতে হবে কোনদিকে থাকলে সে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে?

  নাহ্, বড় বেশি ভাবছি। কিন্তু না ভেবে থাকতে পারছি কই! গ্লু-প্যাডে ইঁদুরের আটকে পড়ার সম্ভাবনায় মানসের চোখে যে জিঘাংসার আগুন আর মুখে যে যুদ্ধজয়ের উল্লাস দেখলাম তা যেন অপ্রত্যাশিতভাবে আমার সামনে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দরজা খুলে দিয়েছে।

  ইঁদুর মারা-বিষ দিয়ে ইঁদুর মারার পক্ষপাতী আমি নই। কোথায় মরে পড়ে থাকবে, তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াবে! তার ওপর পচা ইঁদুরে পোকা কিলবিল করে ! জ্যান্ত ইঁদুর দূর করতে গিয়ে শেষে কিনা মরা-পচা ইঁদুরের উৎপাত! অসহ্য। কল পেতে ইঁদুর ধরাটাও আমার না-পসন্দ। কলে আটকে সারারাত মুক্তির চেষ্টায় ঘুমের দফারফা! তখন আর নিজের মেজাজের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না আমার। সবচেয়ে ভাল সমাধান বেড়াল পোষা। কিন্তু কোনও জন্তুকে পোষ মানানো আমার স্বভাববিরুদ্ধ। তাই ইঁদুর তাড়ানোর জন্য বেড়াল আমদানিও বাতিল। সব বিবেচনা করে মনে হয়েছিল মাউস গ্লু-ই ঠিকঠাক সমাধান। তাতে প্রাথমিক সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ-ই মানস নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ল। আমি কারণ জানতে চাইনি। আমি অস্বস্তিতে আছি জেনেও, ও কেন যেন গ্লু-প্যাডটা কিচেনে পাততে চাইছিল না। আর আমারও তো হাজার অসুবিধা! পরিকল্পনা করে কোনও প্রাণীকে কিছুতেই নিজে হাতে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারি না! নাহলে হয়তো নিজেই প্যাডটা পেতে দিতাম। কাউকে একই বিষয়ে বারবার বলা আমার স্বভাব নয়, তা সত্ত্বেও মানসকে পরপর কয়েক রাত বলেছিলাম। ও গাঁইগুঁই করতে করতে বলেওছিল, পেতে দেবে। কিন্তু পাতছিল না। তারপর আচমকাই আজ রাতে পেতে দিল।

   প্যাডে আটকে পড়া ইঁদুর নিয়ে মানসকে এর আগে বিরক্ত হতে দেখেছি। সেটা খুব স্বাভাবিকও বটে। কারই বা এসব ফালতু ঝামেলা পোহাতে ভাল লাগে! কিন্তু আজকে ওর প্রতিক্রিয়া কেমন যেন বিজাতীয় মনে হল।

      বাইরে থেকে মানসকে দেখলে মনে হয় ওর কোনও ইগো নেই, একেবারে মাটির মানুষ। ভব্য-সভ্য-শোভন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, সব ওর মনের মতো চললে ওর মতো মিষ্টি স্বভাবের মানুষ আর হয় না। কিন্তু কোথাও আটকালে, এতটুকু বিরূদ্ধ সমালোচনা হলে ও এত দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়ে যে, আমার মাঝে মাঝে বেশ ভয় লাগে। রূঢ়-নির্মম-হৃদয়হীন মানসকে সে সময় আমি চিনে উঠতে পারি না। আজ পর্যন্ত ও আমার প্রতি ভীষণ কেয়ারিং, আবেশমুগ্ধ। কিন্তু সেটা কি আমি ওর প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত-অনুগত-প্রশ্নহীন বলে?

   আচ্ছা, আমি এসব কেন ভাবছি ? নিজেরই কেমন অবাক লাগে ভাবনার বহরে! কই একসঙ্গে থাকতে শুরু করার আগে তো আমার মনে এই ধরনের কোনও ভাবনার উদ্রেক হয়নি! তাহলে এখন কেন হচ্ছে?

  আগে ওর সহৃদয়তা আর নরম ভালবাসায় আমি কেমন নিশ্চিন্তে ডুবে গেছিলাম। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওর সাবধানী পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় কাঠিন্যে খুব আশ্বস্ত বোধ করতাম। কিন্তু এখন কেন মনে হচ্ছে সবকিছুই ওর কৌশল! আমাকে জয় করার জন্য, আমাকে চিরতরে পাওয়ার জন্য ও যেন সে’সময় নিজের অহংকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। আজ আমি ওর চলাফেরায়, কথাবার্তায়, আচার-আচরণে সেই উদ্ধত অহংকে ফুটে উঠতে দেখছি। কোথাও যেন একটা নিজের অবস্থানের গর্ব, শক্তির স্পর্ধা। যেটাকে আমার মানসের কার্যোদ্ধারের মুখোশ বলে মনে হয়েছিল, সেটাই কেন যেন এখন ওর মুখ বলে বোধ হচ্ছে !

  আচ্ছা, মানস কি আমার অস্বস্তি হচ্ছে বলে আমাকে আশ্বস্ত করার জন্য গ্লু-প্যাড পেতেছে? যদি তা-ই হয় তাহলে আগের কয়েক রাতে বারবার বলা সত্ত্বেও পাতেনি কেন? দু’চার রাত আগে থেকেই তো আমি বলা বন্ধ করে দিয়েছি – তা সত্ত্বেও হঠাৎ আজ রাতে প্যাডটা পাতল কেন? কিন্তু এর অন্য কী-ই বা কারণ থাকতে পারে ? আমার তো ছাই কিছুই মাথায় আসছে না। জানি, মানসকে জিজ্ঞাসা করলেও এর কোনও সদুত্তর পাব না। যে কথাটা ও একবার আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য উচ্চারণ করে ফেলেছে এবং যা দিয়ে ওর প্রমাণ করতে সুবিধা হয় যে ও আমার জন্য কত ভাবে, সে কথা ভিতর থেকে মিথ্যা হলেও হাজার চেষ্টা করেও ওর মুখ দিয়ে আর আসল সত্যিটা বের করা যাবে না।

   কিন্তু আজ আমার বুঝতে এতটুকু ভুল হয়নি। আমার গাল স্পর্শ করে— আমার সরস, সাগ্রহ আহ্বান সত্ত্বেও ক্ষণিকের জন্য হলেও মানস যেন কোনও একটা ভাবনায় ডুবে গিয়েছিল! আমার আমন্ত্রণে নয়, অন্য কোনও কারণে ওর চোখে-মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল সাফল্যের উদ্ভাস। ওর চোখে ঝলসে উঠতে দেখেছিলাম শিকারী শ্বাপদের দ্যুতি! ওর লোলুপ শরীরটা দেখে ভয় করছিল আমার। তারপর–তারপর— আমি যদি খুব ভুল না-বুঝে থাকি— আমার সত্তাকে উপেক্ষা করে মানস শিকারীসুলভ মানসিকতায় আমাকে শিকার করেছিল। 

শুধু শিকার করেছিল বললে ভুল বলা হবে— শিকার করার পর শিকারী পশু যেমন তৃপ্তিভরে সেটাকে চেটেপুটে উপভোগ করে, মানস যেন ঠিক সেইভাবে ওই মুহূর্তটাকে, আমাকে আর পরিস্থিতিটাকে তারিয়ে তারিয়ে আত্মসাৎ করেছিল।

প্রচ্ছদঃ অন্তরা ভট্টাচার্য

*****